ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮
অধ্যায়-১
প্রারম্ভিক
ফৌজদারী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law/Adjective Law]। ফৌজদারী কার্যবিধিতে ফৌজদারী আদালতের গঠন এবং ক্ষমতা থেকে শুরু করে, অভিযোগ দায়ের, আসামী গ্রেফতার, তদন্ত, সাক্ষ্য গ্রহন, রায়, রায়ের বিরুদ্ধে আপীল ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে, তাই ফৌজদারী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন। ফৌজদারী কার্যবিধি সর্বপ্রথম ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক পাস করা হয়। পরবর্তীতে ১৮৭২ এবং ১৮৮২ সালে ফৌজদারী কার্যবিধি সংস্কার করে, ভারতীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রেসিডেন্সি শহরে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৯৮ সালের ১লা জুলাই আইনটি কার্যকর করা হয়। ফোজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ সালের ৫নং আইন। ফৌজদারী কার্যবিধিতে মোট ৫৬৫টি ধারা আছে।
ফৌজদারী কার্যবিধিতে সর্বমোট ৫ টি তফসিল ছিল, ১ টি তফসিল বাতিল হয়ে ৪টি তফসিল বলবৎ আছে।
তফসিল নং | তফসিলের বিষয় |
১ম | বাতিল |
২য় | দণ্ডবিধির অপরাধসমূহ কোন আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য, আমলযোগ্য নাকি আমলঅযোগ্য, জামিনযোগ্য নাকি জামিনঅযোগ্য ইত্যাদি বিষয় |
৩য় | ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাধারণ ক্ষমতা |
৪র্থ | ম্যাজিস্ট্রেটগণের অতিরিক্ত ক্ষমতা |
৫ম | ফরমসমূহ |
তফসিলসমূহের মধ্যে ২য় বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তফসিল থেকে বিগত বছরে প্রশ্ন এসেছে। দ্বিতীয় তফসিলে কলাম আছে ৮টি।
কলাম নং | যে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে |
১ম কলাম | দণ্ডবিধির অধীন ধারা |
২য় কলাম | অপরাধ |
৩য় কলাম | ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে কি পারে না বা আমলযোগ্য বা আমলযোগ্য অপরাধ। |
৪র্থ কলাম | প্রথমে ওয়ারেন্ট বা সমন ইস্যু করা হবে কিনা? |
৫ম কলাম | অপরাধ জামিনযোগ্য নাকি জামিনঅযোগ্য |
৬ষ্ঠ কলাম | অপরাধ আপসযোগ্য বা মিমাসাংযোগ্য কিনা? |
৭ম কলাম | দণ্ডবিধির অধীন উল্লেখিত শাস্তি |
৮ম কলাম | যে আদালত কর্তৃক অপরাধটি বিচারযোগ্য |
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫ ধারায় দণ্ডবিধিতে উল্লেখিত অপরাধ সমূহ এবং অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার করার ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
#দণ্ডবিধির অধীন উল্লেখিত অপরাধ সমূহের বিচারঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫(১) ধারা অনুসারে, দণ্ডবিধির অধীন সকল অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লেখিত পদ্ধতিতে হবে।
#অন্যান্য আইনের অধীন উল্লেখিত অপরাধ সমূহের বিচারঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫(২) ধারা অনুসারে, অন্যান্য যে কোন আইনের অধীন সকল অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচার ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লেখিত পদ্ধতিতে হবে। কিন্তু উক্ত অন্যান্য আইনে উল্লেখিত অপরাধসমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং বিচারের পন্থা ও স্থান নিয়ে কোনো বিধান করা হলে, সে ক্ষেত্রে উক্ত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে।