সাক্ষ্য আইন একটি পদ্ধতিগত আইন। এটি ১৮৭২ সালের ১নং আইন। সাক্ষ্য আইনে ৩ টি অংশে মোট ১৬৭টি ধারা এবং ১১টি অধ্যায় আছে। ১৮৭১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্যার জেমস ফিটজজেমস স্টিফেন কে সাক্ষ্য আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তার তৈরীকৃত বিলটি ১৮৭২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশে এই আইনটি সামান্য কিছু সংশোধনী ছাড়া প্রয়োগ হচ্ছে। আদালত মামলার বিচার্য বিষয় প্রমানের জন্য মামলার কোন পক্ষ্য কোন বিষয়ের উপর সাক্ষ্য দিতে পারে, কোন সাক্ষ্যগুলো প্রাসংগিক হবে, সাক্ষ্য সম্পর্কে আদালতের অনুমান, প্রমানের ভার নির্ধারণ, (জবানবন্দী, জেরা, পুনঃজবানবন্দী) ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য আইনে আলোচনা করা হয়েছে।
সাক্ষ্যঃ
আদলত কোন সাক্ষীকে আদালতের বিচার বা অনুসন্ধানের অধীন যে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকেন বা সাক্ষী কর্তৃক আদালতে যে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাকে সাক্ষ্য বলা হয়।
সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সাক্ষ্য ২ প্রকার-
১) মৌখিক সাক্ষ্য
২) দালিলিক সাক্ষ্য
এছাড়াও সাক্ষ্যকে নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়-
১) প্রাথমিক সাক্ষ্য
ক) প্রাথমিক মৌখিক সাক্ষ্য
খ) প্রাথমিক লিখিত সাক্ষ্য
২) গৌণ সাক্ষ্য
ক) গৌণ মৌখিক সাক্ষ্য
খ) গৌণ দালিলিক সাক্ষ্য