সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২
টেস্ট- ১
প্রশ্নঃ-১) সাক্ষ্য আইন কত সালের আইন?
উত্তরঃ ১৮৭২ সালের।
প্রশ্নঃ-২) সাক্ষ্য আইন কি ধরনের আইন?
উত্তরঃ পদ্ধতিগত আইন।
প্রশ্নঃ-৩) ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের খসড়া কখন প্রণয়ন করা হয়?
উত্তরঃ ১৮৭১ সালে।
প্রশ্নঃ-৪) ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের খসড়া কে প্রণয়ন করেন?
উত্তরঃ স্যার জেমস স্টিফেন।
প্রশ্নঃ-৫) সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ সালের কত নং আইন?
উত্তরঃ ১নং আইন।
প্রশ্নঃ-৬) সাক্ষ্য আইন কত তারিখে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৮৭২ সালের ১৫ই মার্চ।
প্রশ্নঃ-৭) সাক্ষ্য আইন কত তারিখ হতে বলবৎ বা কার্যকর করা হয়?
উত্তরঃ ১৮৭২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।
প্রশ্নঃ-৮) Evidence শব্দটি কোন ভাষা হতে উদ্ভব হয়েছে?
উত্তরঃ ল্যাটিন।
প্রশ্নঃ-৯) সাক্ষ্য এর ইংরেজি শব্দ কি?
উত্তরঃ Evidence
প্রশ্নঃ-১০) সাক্ষী এর ইংরেজি শব্দ কি?
উত্তরঃ Witness
প্রশ্নঃ-১২) সাক্ষ্য আইনে কতটি ধারা রয়েছে?
উত্তরঃ ১৬৭টি।
প্রশ্নঃ-১৩) সাক্ষ্য আইন কত খন্ডে বিভক্ত?
উত্তরঃ ৩টি।
প্রশ্নঃ-১৪) সালিশি আদালতে কি সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ প্রযোজ্য?
উত্তরঃ প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্নঃ-১৫) প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে কি সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ প্রযোজ্য?
উত্তরঃ প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্নঃ-১৬) জেলা জজ আদালতে কি সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ প্রযোজ্য?
উত্তরঃ প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ-১৭) সাক্ষ্য আইন কোন ধরনের আইন?
উত্তরঃ পদ্ধতিগত আইন।
প্রশ্নঃ-১৮) সাক্ষ্য আইন কোন কোন আদালতে প্রযোজ্য নয়?
উত্তরঃ সালিশি আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রশ্নঃ-১৯) সাক্ষ্য দেওয়া যাবে কোন কোন বিষয়ে?
উত্তরঃ বিচার্য্য বিষয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে।
প্রশ্নঃ-২০) বিচার্য বিষয় কত প্রকার?
উত্তরঃ ২ প্রকার, যথাঃ তথ্যগত বিচার্য বিষয় ও আইনগত বিচার্য বিষয়।
প্রশ্নঃ-২১) সাক্ষ্য আইন অনুসারে সাক্ষ্য কত প্রকার?
উত্তরঃ সাক্ষ্য ২ প্রকার, যথাঃ মৌখিক সাক্ষ্য ও দালিলিক সাক্ষ্য।
প্রশ্নঃ-২২) যে সমস্ত বিষয় একই কার্যের অংশ সেগুলো সাক্ষ্য আইনে কি?
উত্তরঃ প্রাসঙ্গিক।
প্রশ্নঃ-২৩) স্বীকৃতি বা এডমিশন কি?
উত্তরঃ মৌখিক বা লিখিত উক্তি।
প্রশ্নঃ-২৫) সাক্ষ্য কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২ প্রকার, যথাঃ মৌখিক সাক্ষ্য এবং দালিলিক সাক্ষ্য।
প্রশ্নঃ-২৬) স্বীকৃতির সংজ্ঞা সাাক্ষ্য আইনের কত ধারায় দেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ১৭ ধারায়।
প্রশ্নঃ-২৭) কোন ধরনের বিবৃতি ১৭ ধারার স্বীকৃতি/স্বীকার বলে গণ্য করা হবে?
উত্তরঃ মৌখিক বা লিখিত।
প্রশ্নঃ-২৯) স্বীকৃতি কোন কোন মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ দেওয়ানী ও ফৌজদারী।
প্রশ্নঃ-৩০) সকল স্বীকৃতিই কি নয়?
উত্তরঃ স্বীকারোক্তি।
প্রশ্নঃ-৩১) স্বীকারোক্তি প্রধানত কত প্রকার?
উত্তরঃ ২ প্রকার।
প্রশ্নঃ-৩৩) অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির দ্বারা দোষ স্বীকার করাকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ স্বীকারোক্তি।
প্রশ্নঃ-৩৪) ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট কোন স্বীকারোক্তি করা হলে উক্ত স্বীকারোক্তি কি ধরনের স্বীকারোক্তি বলে গণ্য হবে?
উত্তরঃ জুডিশিয়াল স্বীকারোক্তি।
প্রশ্নঃ-৩৫) ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা পক্ষের নিকট স্বীকারোক্তি করা হলে উক্ত স্বীকারোক্তি কোন ধরনের স্বীকারোক্তি বলে গণ্য হবে?
উত্তরঃ এক্সট্রা জুডিশিয়াল স্বীকারোক্তি।
প্রশ্নঃ-৩৬) কার স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য বা স্বীকারোক্তি কে করতে পারেন?
উত্তরঃ অভিযুক্ত ব্যক্তি বা আসামী।
প্রশ্নঃ-৩৭) স্বীকারোক্তি বা কনফেশন সব সময় কার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ আসামীর বিরুদ্ধে।
প্রশ্নঃ-৩৮) যখন কোন স্বীকারোক্তি আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্য কারও নিকট প্রদান করা হয় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ এক্সট্রা জুডিসিয়াল স্বীকারোক্তি।
প্রশ্নঃ-৩৯) স্বীকারোক্তি প্রাসঙ্গিক নাকি অপ্রাসঙ্গিক সে সম্পর্কে বলা আছে কোথায়?
উত্তরঃ সাক্ষ্য আইনের ২৪ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৪০) পুলিশ অফিসারের নিকট দোষ স্বীকার কার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যায় না?
উত্তরঃ দোষ স্বীকারকারী আসামীর বিরুদ্ধে।
প্রশ্নঃ-৪২) পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি কখন গ্রহণযোগ্য হয়?
উত্তরঃ পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যদি হুবহু আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রশ্নঃ-৪৩) স্বীকারোক্তি কি দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্নঃ-৪৪) স্বীকারোক্তি কি ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ-৪৬) স্বীকারোক্তি করার পর যদি দাবী করা হয় স্বীকারোক্তি যথার্থ হয়নি উক্ত দাবী প্রমাণের দায়িত্ব কার?
উত্তরঃ যিনি স্বীকারোক্তি করেছেন।
প্রশ্নঃ-৪৭) অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে তখন উক্ত স্বীকারোক্তিকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ In culpatory confessional statement
প্রশ্নঃ-৪৮) অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন নিজেকে না জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে তখন উক্ত স্বীকারোক্তিকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ Ex-culpatory confessional statement
প্রশ্নঃ-৫০) বাংলাদেশে কোন উইল প্রবেট দ্বারা প্রমাণ করা যায়?
উত্তরঃ যে সকল উইলের প্রবেট স্বীকৃত হয়েছে।
প্রশ্নঃ-৫১) যে সকল উইলের প্রবেট স্বীকৃত হয়েছে, সে সকল উইল প্রমাণ করা যাবে কিসের দ্বারা?
উত্তরঃ প্রবেট দ্বারা।
প্রশ্নঃ-৫৪) প্রমাণের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে কত ধারায়?
উত্তরঃ সাক্ষ্য আইনের ১০১ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৫৫) প্রমাণের দায়িত্বের ইংরেজী কি?
উত্তরঃ বারডেন অব প্রুফ।
প্রশ্নঃ-৫৭) ফৌজদারী মামলায় অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব কোন পক্ষের?
উত্তরঃ ফরিয়াদী বা বাদী পক্ষের।
প্রশ্নঃ-৫৮) দেওয়ানী মোকদ্দমা প্রমাণের দায়িত্ব কোন পক্ষের?
উত্তরঃ যে যতটুকুর দাবি করবে, তাকেই ততটুকু প্রমাণ করতে হবে।
প্রশ্নঃ-৬৫) স্বীকৃতি বা এডমিশন কোনভাবে হতে পারে?
উত্তরঃ মৌখিক বা লিখিত উভয়ভাবেই।
প্রশ্নঃ-৬৭) স্বীকৃতির মাধ্যমে কিসের সূচনা হয়?
উত্তরঃ কোন বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত বা অনুমানের।
প্রশ্নঃ-৬৮) স্বীকৃতি বা এডমিশন প্রযোজ্য হয় কোন মামলায়?
উত্তরঃ দেওয়ানী বা ফৌজদারী উভয় মামলায়।
প্রশ্নঃ-৬৯) স্বীকারোক্তি বা কনফেশন প্রযোজ্য হয় কোন মামলার ক্ষেত্রে?
উত্তরঃ শুধু ফৌজদারী মামলায়।
প্রশ্নঃ-৭০) কোন পক্ষ আদালতে স্বীকৃতি দিতে পারে?
উত্তরঃ মামলার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোন পক্ষ।
প্রশ্নঃ-৭১) সকল স্বীকারোক্তিই কি?
উত্তরঃ স্বীকৃতি।
প্রশ্নঃ-৭২) সকল স্বীকৃতিই কি?
উত্তরঃ স্বীকারোক্তি নয়।
প্রশ্নঃ-৭৮) পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যদি হুবহু আলামত উদ্ধার করা হয়, সেই স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য। এটা কত ধারায় আছে?
উত্তরঃ স্বাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৭৯) ‘ক’ পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি দিল যে, তিনি ‘খ’ কে হত্যা করেছেন। এই স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য কিনা?
উত্তরঃ স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্নঃ-৮০) মৃত্যুকালীন ঘোষণা সম্পর্কে বলা আছে কত ধারায়?
উত্তরঃ স্বাক্ষ্য আইনের ৩২ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৮১) মৃত্যুকালীন ঘোষণা কি?
উত্তরঃ মৃতব্যক্তি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রদেয় বিবৃতি।
প্রশ্নঃ-৮২) মৃত্যুকালীন ঘোষণা কিভাবে দেয়া যায়?
উত্তরঃ লিখিত, মৌখিক বা ইশারায়।
প্রশ্নঃ-৮৩) মৃত্যুকালীন ঘোষণা সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের শর্ত কি?
উত্তরঃ উক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে।
প্রশ্নঃ-৮৪) মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী ব্যক্তি বেঁচে গেলে কি হবে?
উত্তরঃ উক্ত ঘোষণার সাক্ষ্যগত মূল্য হারাবে।
প্রশ্নঃ-৮৫) মৃত্যুকালীন ঘোষণা কোন পদ্ধতিতে বা কিভাবে দেওয়া যায়?
উত্তরঃ লিখিত, মৌখিক ও ইশারায়।
প্রশ্নঃ-৮৬) মৃত্যুকালীন ঘোষণা কার নিকট প্রদান করা যায়?
উত্তরঃ যে কোন ব্যক্তির নিকট।
প্রশ্নঃ-৮৭) মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদানকারী ব্যক্তি বেঁচে গেলে উক্ত ঘোষণা কি হবে?
উত্তরঃ সাক্ষ্যগত মূল্য হারাবে।
প্রশ্নঃ-৮৮) মৃত্যুকালে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিবৃতি কি হিসেবে পরিগণিত হবে?
উত্তরঃ মৃত্যুকালীন ঘোষণা।
প্রশ্নঃ-৮৯) যে সকল সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব হয় না, তাদের বিবৃতি সম্পর্কে সাক্ষ্য আইনের কত ধারা হতে কত ধারা পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে?
উত্তরঃ ধারা ৩২ হতে ৩৩ ধারা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ-৯০) ১ জন সাক্ষী দিয়ে কি একটি ঘটনা প্রমাণ করে সাজা দেয়া যায়?
উত্তরঃ যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
প্রশ্নঃ-৯২) সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা জেরা জবানবন্দী গ্রহণ সম্পর্কে কোন আইন না থাকলে আদালতের করণীয় কি?
উত্তরঃ আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্ধারণ করবেন।
প্রশ্নঃ-৯৩) গ্রহণযোগ্যতা কে নির্ধারণ করে থাকেন?
উত্তরঃ আদালত বা বিচারক।
প্রশ্নঃ-৯৪) সাক্ষীর জবানবন্দীর ইংরেজী কি?
উত্তরঃ এক্সামিনেশান।
প্রশ্নঃ-৯৫) জেরার ইংরেজী কি?
উত্তরঃ ক্রস এক্সামিনেশান।
প্রশ্নঃ-৯৬) পূনঃ জবানবন্দীর ইংরেজী কি?
উত্তরঃ রি-এক্সামিনেশান।