বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ, ১৯৭২
অধ্যায়-১
বার কাউন্সিলের পরিচয়, ক্ষমতা ও কার্যাবলী
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল:
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হল বাংলাদেশের সমস্ত আইনজীবী ও স্থানীয় বার এসোসিয়েশনের নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান। বার কাউন্সিল হল সরকারের একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 (President’s Order NO. 46 0f 1972) এর অধীন গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালের ১৭ই মে Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 মাধ্যমে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
বার কাউন্সিলের কার্যাবলীঃ
Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 এর ১০ অনুচ্ছেদে বার কাউন্সিলের কার্যাবলী আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত অণুচ্ছেদে বলা হয়েছে- এই আদেশ এবং এর অধীনে গঠিত বিধি-বিধান সাপেক্ষে বার কাউন্সিলের কার্যাবলী হবে-
(ক) কোন ব্যক্তিকে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত করা, তালিকাভুক্তির উদ্দেশ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠান করা এবং তালিকা হতে আইনজীবী গনকে বহিস্কার করা।
(খ) আইনজীবীগনের তালিকা প্রস্তুত এবং সংরক্ষন করা।
(গ) আইনজীবীদের পেশগত আচরন ও শিষ্টাচারের মান নিয়ন্ত্রণে বিধি-বিধান আরোপ করা।
(ঘ) তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অসদাচরনের অভিযোগ শ্রবন ও বিচার অনুষ্ঠান করা।
(ঙ) তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের অধিকার সুযোগ সুবিধা এবং স্বার্থ রক্ষা করা।
(চ) বার কাউন্সিলের তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা।
(ছ) বার কাউন্সিলের সদস্যগণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
(জ) এর কমিটি কর্তৃক অনুস্মরণযোগ্য কার্যবিধি প্রনয়ন করা।
(ঝ) আইনগত শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং এরূপ উন্নয়নের জন্য এরূপ শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিধি-বিধান প্রণয়ন করা।
(ঞ) এই আদেশের অধীনে অনুমোদিত অন্যান্য কার্যাবলী প্রণয়ন করা।
(ট) উপরোক্ত কার্যাবলী পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল প্রকার কার্যাবলী সম্পাদন করা।
বার কাউন্সিল কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষমতাঃ
Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 এর ৪০(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- বার কাউন্সিল কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্ব-অনুমোদন লাগবে।
বার কাউন্সিলের সচিব নিযুক্তিঃ
Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 এর ৬এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের একজন সেক্রেটারী (সচিব) থাকবেন। যিনি জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজদের মধ্য হতে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।