তামাদি আইন, ১৯০৮
টেস্ট- ১
প্রশ্নঃ-১) প্রশ্নঃ তামাদি আইন কত সালের আইন?
উত্তরঃ ১৯০৮ সালের।
প্রশ্নঃ-২) তামাদি কি ধরনের শব্দ?
উত্তরঃ আরবী শব্দ।
প্রশ্নঃ-৩) তামাদি শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ কোন কিছু বিলুপ্ত হওয়া বা বাধা প্রাপ্ত হওয়া।
প্রশ্নঃ-৫) তামাদি আইন প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ বাদী বা বিবাদীর আদালতের প্রতি স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিরোধ করা।
প্রশ্নঃ-৬) তামাদি আইন কি ধরনের আইন?
উত্তরঃ বিধিবদ্ধ আইন।
প্রশ্নঃ-৭) তামাদি কার বিরুদ্ধে গণনা হয়?
উত্তরঃ বাদী বা দরখাস্তকারীর বিরুদ্ধে গণনা হয়।
প্রশ্নঃ-৮) এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম তামাদি আইন প্রবর্তিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৮৫৯ সালে।
প্রশ্নঃ-৯) তামাদি আইন সর্বপ্রথম আইনে পরিণত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৮৫৯ সালে।
প্রশ্নঃ-১০) সর্বপ্রথম তামাদি আইন কার্যকর হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৮৬২ সালে।
প্রশ্নঃ-১১) তামাদি আইনে কতটি তফসিল রয়েছে?
উত্তরঃ ৩টি।
প্রশ্নঃ-১২) তামাদি আইনে কতটি অনুচ্ছেদ রয়েছে?
উত্তরঃ ১৮৩টি।
প্রশ্নঃ-১৩) তামাদি আইন ১৯০৮ সালের কত নং আইন?
উত্তরঃ ৯নং আইন।
প্রশ্নঃ-১৪) মূল ফৌজদারী মোকদ্দমায় তামাদির বিধান প্রযোজ্য হবে কি?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্নঃ-১৫) সাধারণত কোন মোকদ্দমা তামাদি আইন দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত?
উত্তরঃ দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা।
প্রশ্নঃ-১৬) সাধারণত কোন মামলা তামাদি আইন দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত নয়?
উত্তরঃ ফৌজদারী মামলা।
প্রশ্নঃ-১৭) তামাদি আইনে কতটি ধারা আছে?
উত্তরঃ উত্তরঃ ২৯ টি।
প্রশ্নঃ-১৮) বাংলাদেশে তামাদি আইন কার্যকর হয় কখন থেকে?
উত্তরঃ ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারী।
প্রশ্নঃ-১৯) বরাত চিঠি কি?
উত্তরঃ টাকা দেবার আদেশ।
প্রশ্নঃ-২২) ব্যবহারসিদ্ধ অধিকার কোনগুলো?
উত্তরঃ আলো-বাতাসের অধিকার, পানি নিষ্কাশনের অধিকার, পথ চলাচলের অধিকার ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ-২৫) তামাদি আইনের ৩ ধারা প্রযোজ্য হয় কোন মোকদ্দমায়?
উত্তরঃ সকল রিভিউ, আপিল, রিভিশন এবং দেওয়ানী মূল মোকদ্দমায়।
প্রশ্নঃ-২৮) পক্ষগণ একমত হয়ে কি তামাদির মেয়াদ বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ বাড়ানো যায় না।
প্রশ্নঃ-২৯) তামাদির মেয়াদের পরে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করার ফল কি?
উত্তরঃ মোকদ্দমা খারিজ।
প্রশ্নঃ-৩০) তামাদি প্রমাণের দায়িত্ব কার উপর বর্তায়?
উত্তরঃ যে পক্ষ তামাদির সুবিধা দাবি করেন তার উপর বর্তায়।
প্রশ্নঃ-৩২) কোন কোন আইনের ক্ষেত্রে তামাদি আইন প্রযোজ্য নয়?
উত্তরঃ বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, অর্থঋন আদালত আইন, ২০০৩।
প্রশ্নঃ-৩৩) নির্দিষ্ট অছিকৃত সম্পত্তির তামাদির মেয়াদ কি?
উত্তরঃ মোকদ্দমা দায়েরের ক্ষেত্রে কখনও মেয়াদ তামাদি হবে না।
প্রশ্নঃ-৩৪) তামাদি আইনে তামাদির সময় বৃদ্ধি সম্পর্কে কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ধারা ৪ থেকে ৭।
প্রশ্নঃ-৩৫) “যথেষ্ট কারণ” তামাদি আইনের কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ৫ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৩৬) তামাদি আইনের সময় গণনা কোন পঞ্জিকা অনুসারে গণনা করা হয়?
উত্তরঃ ইংরেজী পঞ্জিকা অনুসারে।
প্রশ্নঃ-৩৮) বিশেষ আইনের ক্ষেত্রে তামাদি আইনের ৫ ধারা প্রযোজ্য কিনা?
উত্তরঃ প্রয়োগের বিধান থাকলে প্রযোজ্য হবে অন্যথায় নয়।
প্রশ্নঃ-৪০) স্যুটের ক্ষেত্রে কি তামাদি আইনের ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্নঃ-৪৩) বিলম্ব মওকুফের দরখাস্ত কত ধারায় করতে হয়?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ৫ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৪৪) স্বত্ব ঘোষনা সংক্রান্ত মোকদ্দমার ক্ষেত্রে তামাদি মওকুফ হবে কি?
উত্তরঃ তামাদি মওকুফ হবে না।
প্রশ্নঃ-৪৫) ফৌজদারী আপিলের ক্ষেত্রে কি তামাদি আইনের ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে।
প্রশ্নঃ-৪৭) কি কি কারনে তামাদির মেয়াদ উর্ত্তীণ হবার পরেও আদালত তামাদির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন?
উত্তরঃ অন্তরীন দশা, অসুস্থতা, আইনজীবীর ভুল।
প্রশ্নঃ-৪৮) ফৌজদারী মামলার কোন কোন ক্ষেত্রে তামাদি আইন প্রযোজ্য?
উত্তরঃ আপিল, রিভিউ ও রিভিশন।
প্রশ্নঃ-৪৯) কোন কোন ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদ গণনা ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ দেওয়ানী মূল মোকদ্দমা এবং দেওয়ানী ও ফৌজদারী আপিল, রিভিউ, রিভিশন এবং বিবিধ দরখাস্তের ক্ষেত্রে।
প্রশ্নঃ-৫০) দেওয়ানী মোকদ্দমায় আপিলের মেয়াদ চলে গেলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ৫ ধারার বিধান মতে বিলম্ব মওকুফের আবেদন করতে হবে।
প্রশ্নঃ-৫১) তামাদি আইনের ৫ ধারা মতে কোন কোন মোকদ্দমার ক্ষেত্রে তামাদির সীমা বৃদ্ধি করা যায়?
উত্তরঃ আপিল, রিভিউ ও রিভিশন।
প্রশ্নঃ-৫২) তামাদি আইনের ৬ ধারায় কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ বৈধ অপারগতা।
প্রশ্নঃ-৫৩) আইনগত অক্ষমতা কোন কোন মোকদ্দমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ শুধুমাত্র মূল মোকদ্দমা এবং ডিক্রি জারির দরখাস্তের বেলায় প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ-৫৪) আইনগত অক্ষমতা কার অপারগতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ বাদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
প্রশ্নঃ-৫৫) বৈধ অপারগতার ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ বন্ধ থাকে কিনা?
উত্তরঃ বন্ধ থাকে।
প্রশ্নঃ-৫৬) আইনগত অক্ষমতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত তামাদি বন্ধ থাকবে কি?
উত্তরঃ তামাদি বন্ধ থাকবে।
প্রশ্নঃ-৬০) কত ধারার বিধান মতে তামাদির মেয়াদ গণনা আরম্ভ হয়?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১২ ধারার বিধান মতে।
প্রশ্নঃ-৬৩) তামাদির নির্ধারিত সময়সীমা তামাদি আইনের কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১২ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৬৪) এখতিয়ার বিহীন আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করায় আরজি ফেরত দেওয়া হলে কিন্তু ইতিমধ্যে তামাদির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে করণীয় কি?
উত্তরঃ নতুন মোকদ্দমা দায়ের করতে হলে তামাদি আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক আরজির সঙ্গে বিলম্ব মওকুফের আবেদন করতে হবে।
প্রশ্নঃ-৬৬) তামাদি আইনের কত ধারা মতে মোকদ্দমা স্থগিতকালীন সময় বাদ দেওয়া হয়?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১৫ ধারা মতে।
প্রশ্নঃ-৬৭) নিলাম বিক্রয় বাতিল করণের মোকদ্দমা পরিচালনায় তামাদির মেয়াদ বাদ দিতে হয় কত ধারায়?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১৬ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৬৮) “মোকদ্দমা দায়ের করার অধিকার অর্জনের আগেই বাদীর মৃত্যুর ফলাফল” এ সম্পর্কে তামাদি আইনের কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১৭ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৬৯) কোন মোকদ্দমার ক্ষেত্রে কোন দেনার আংশিক পরিশোধ করলেও পরিশোধের তারিখ হতে নতুন করে তামাদির মেয়াদ শুরু হয় না-
উত্তরঃ বন্ধক দাতার সম্পত্তি পূনঃরুদ্ধারের মোকদ্দমার ক্ষেত্রে।
প্রশ্নঃ-৭০) অবিরামভাবে যা একাধারে চুক্তি ভঙ্গের ফলাফল কি?
উত্তরঃ তামাদির মেয়াদ নতুন করে শুরু হওয়া।
প্রশ্নঃ-৭১) নতুনভাবে তামাদির মেয়াদ গণনা আরম্ভ হয় কোন কোন কর্মকান্ডের ফলে?
উত্তরঃ লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলে, অবিরাম চুক্তি ভঙ্গের ফলে এবং আংশিক দেনা পরিশোধের ফলে।
প্রশ্নঃ-৭২) চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের কোন মোকদ্দমায় যেক্ষেত্রে কোন সময়কাল নির্ধারিত নেই সেক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ গণনা আরম্ভ হবে কখন থেকে?
উত্তরঃ অস্বীকৃতির বিষয় জানার তারিখ হতে।
প্রশ্নঃ-৭৩) সুখাধিকার অর্জন সম্পর্কে তামাদি আইনে কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ২৬ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৭৪) তামাদি আইনের ১৭ ধারা মতে মোকদ্দমা করার যোগ্যতা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ আইনগত অক্ষমতা না থাকা বুঝায়।
প্রশ্নঃ-৭৯) স্বীকৃতি সম্পর্কে তামাদি আইনের কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ১৯ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৮১) তামাদি আইন অনুযায়ী বৈধ স্বীকৃতির উপাদান কোনগুলো?
উত্তরঃ স্বীকৃতিটি লিখিত হতে হবে, স্বীকৃতিটি করতে হয় তামাদির মেয়াদ উর্ত্তীণ হবার আগে, স্বীকৃতিটি দায় স্বীকৃত হতে হবে।
প্রশ্নঃ-৮২) ঋণ বা দায় সংক্রান্ত পরিশোধের অথবা দায়ের সুদ প্রদানের ফলাফল সম্পর্কে তামাদি আইনের কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ২০ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৮৩) তামাদি আইন কোন ধরনের আইন?
উত্তরঃ পদ্ধতিগত আইন।
প্রশ্নঃ-৮৪) তামাদি আইনের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোকদ্দমা দায়ের করা।
প্রশ্নঃ-৮৫) কোন কোন ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ গণনা করা হয়?
উত্তরঃ দেওয়ানী মূল মোকদ্দমা, আপিল, রিভিশন এবং বিশেষ দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে।
প্রশ্নঃ-৮৬) তামাদি আইন প্রযোজ্য হয় না—
উত্তরঃ ফৌজদারী মূল মামলার ক্ষেত্রে।
প্রশ্নঃ-৮৭) কখন তামাদি গণনা আরম্ভ হয়?
উত্তরঃ যে দিন নালিশের কারণ আরম্ভ হয় সেদিন থেকে।
প্রশ্নঃ-৮৮) কোন মোকদ্দমায় নতুন বাদী বা বিবাদী সংযুক্ত করা বা স্থলাভিষিক্ত সম্পর্কে তামাদি আইনের কোন ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ-৮৯) সুখাধিকার কত ধারায়?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ২৬ ধারায়।
প্রশ্নঃ-৯০) সুখাধিকার অর্জন করতে হলে কত বছর দখলে থাকতে হবে?
উত্তরঃ ২০ বছর।
প্রশ্নঃ-৯১) ২০ (বিশ) বছর একাধিক্রমে ভোগজনিত কারণে অর্জিত অধিকারকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ ব্যবহারসিদ্ধ অধিকার।
প্রশ্নঃ-৯২) তামাদি আইনের ২৬ ধারা অনুসারে ব্যবহার সিদ্ধ অধিকার বা সুখাধিকার কত সময়ে অর্জন করা যায় এবং কত সময়ে লোপ পায়?
উত্তরঃ ২০ (বিশ) বছর সময়ে অর্জন করা যায় এবং ২ (দুই) বছরে লোপ পায়।
প্রশ্নঃ-৯৪) চুক্তি আইনের ২৫ ধারা এবং তালাক আইনের উপর তামাদি আইন প্রযোজ্য হবে কি?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্নঃ-৯৫) তামাদি আইনের ব্যতীক্রম ধারা কোনটি?
উত্তরঃ ২৯ ধারা।
প্রশ্নঃ-৯৬) তামাদি আইন মূল ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্নঃ-৯৭) তামাদি আইন ফৌজদারী আপিল এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি?
উত্তরঃ প্রযোজ্য হবে।
প্রশ্নঃ-৯৮) ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা কত দিনের মধ্যে করতে হয়?
উত্তরঃ ৯০ দিন (অনুচ্ছেদ-২)
প্রশ্নঃ-১০০) দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা কত দিনের মধ্যে করতে হয় এবং এ সম্পর্কে তামাদি আইনের কোথায় বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তামাদি আইনের ৩ অনুচ্ছেদ মোতাবেক বেদখলের তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে।